আগামী ১ মাস পেঁয়াজের দাম কমবে না, বরং চলমান দামেই পেঁয়াজ বিক্রি হবে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি আরও জানান, দেশের সব জায়গায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে পেঁয়াজবাহী কোনো পরিবহন চলাচলে বাধাপ্রাপ্ত না হয়। পেঁয়াজের মূল্য যেন আর না বাড়ে, সে জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন ৪০০ ট্রাক টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি চলছে, এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আগামি ১ মাস পেঁয়াজের বেড়ে যাওয়া মূল্য কিছুটা নাজুক থাকবে, তবে এর থেকে আর বাড়বে না।
এদিকে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার এবং অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, পাম তেল এবং অপরিশোধিত চিনির শুল্ক কমাতে একই বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি পণ্যের (ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ ও মশুর ডাল) আন্তর্জাতিক মূল্যের প্রভাবে স্থানীয় বাজারে ঊর্ধ্বমূল্য পরিলক্ষিত হওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে দেশীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তবে চাহিদার তুলনায় বাজারে সংকটের কারণ নেই।
ভোজ্যতেলের বিষয়ে সচিব জানান, তেলের বাড়তি দামের কারণ অনুসন্ধান করবে সরকার। সচিবালয়ের ওই বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি